এই বছর, বাংলাদেশ সরকারের সাথে আমরা যৌথ উদ্যোগে টিকটকের ডেডিকেটেড স্টেম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত) ফিড চালু করেছি। স্টেম ফিড চালু করার মাধ্যমে, টিকটকের লক্ষ্য হলো স্টেম এর বিষয়গুলো নিয়ে উন্নত মানের, এবং নির্ভরযোগ্য কনটেন্ট টিকটকে তুলে ধরা। একইসাথে উদ্ভাবনী চিন্তাকে উৎসাহিত করা এবং টিকটকে একটি কমিউনিটি তৈরি করা।
'স্টেম ফিড' (STEM Feed) টিকটকের একটি ডেডিকেটেড ইন-অ্যাপ স্পেস হিসেবে ডিজাইন করা হয়েছে যেখানে টিকটক ইউজাররা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য স্টেম কনটেন্ট তৈরি করতে এবং দেখতে পারবেন।
স্টেম ফিডটি এখন বাংলাদেশের সকল ইউজারদের জন্য ডিফল্টরূপে চালু থাকবে। এটি টিকটকের হোম স্ক্রিনে 'ফর ইউ' এবং 'ফলোয়িং' ফিডের পাশে দেখা যাবে। ইউজাররা এই ফিডে ক্রিয়েটর, শিক্ষাবিদ এবং পার্টনারদের তৈরি করা কনটেন্ট দেখতে পাবেন। স্টেমের বিষয়গুলো আরও সহজে বুঝতে এবং শিখতে এই কনটেন্টগুলো বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষায় তৈরি করা যাবে।
টিকটক #STEMTok নামে একটি ডেডিকেটেড হ্যাশট্যাগও চালু করেছে, যেটির মাধ্যমে ক্রিয়েটর, পার্টনার এবং প্রকাশকরা তাদের কনটেন্ট সহজে সবার কাছে পৌঁছে দিতে পারবে।
শেখা এবং সৃষ্টিতে 'স্টেম ফিড'
এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে শিক্ষা এবং ডিজিটাল সাক্ষরতার প্রচারকে টিকটক আরও জোরদার করছে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং তরুণ পেশাদারদের কোন কিছু আবিষ্কার, শেখা, তৈরি এবং সামাজিকভাবে অবদান রাখতে উৎসাহিত করতে আমাদের এই প্রচেষ্টা।
'স্টেম ফিড' হলো টিকটকের সৃজনশীল টুলসের একটি অন্যতম অংশ যা বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ এবং শিক্ষাগত কমিউনিটিকে সাহায্য করবে। কোডিং কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে শুরু করে বিজ্ঞান এবং পরিবেশ সম্পর্কিত স্টেমের জটিল বিষয়গুলো আরও সহজ এবং জনপ্রিয় করতে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।
বিশ্বজুড়ে এক বিলিয়নেরও বেশি মানুষ প্রতি মাসে টিকটকে যুক্ত হচ্ছে। নিজেদেরকে তুলে ধরতে, বিনোদন পেতে, ব্যবসা শুরু বা প্রসার করতে, অথবা কোন নতুন কোন স্কিল শিখতে তারা টিকটক ব্যবহার করছে। বিশ্বের #BookTok এবং #LearnonTikTok এর মতো কমিউনিটিগুলো লাখ লাখ মানুষকে উৎসাহিত করছে সাহিত্য,ভাষা, ইতিহাস এবং উদ্ভাবনী বিষয় নিয়ে আরও শিখতে এবং জানাতে।
বাংলাদেশের স্টেম ক্রিয়েটর
বাংলাদেশে, ক্রিয়েটররা ইতিমধ্যে টিকটকে স্টেমের বিষয়গুলো শেখাকে আকর্ষণীয়ভাবে সবার কাছে তুলে ধরছেন। বাংলাদেশের ক্রিয়েটর @trickstogoofficial প্রতিদিন তার টিকটকে বৈজ্ঞানিক কৌশল এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেয়ার করেন। অন্যদিকে, ক্রিয়েটর রবিন তার @golderstudyarena টিকটক অ্যাকাউন্টে গাণিতিক সমস্যার ব্যাখ্যা এবং সেগুলো সমাধানের কৌশল দেখিয়ে গণিতকে সহজ করে তুলছে। স্টেম ক্রিয়েটর @storyheadofficial গল্প বলার মাধ্যমে পদার্থবিদ্যার বিষয়বস্তু নিয়ে কনটেন্ট তুলে ধরছে।
বিশ্বজুড়ে এবং বাংলাদেশে শিক্ষামূলক কমিউনিটিগুলো টিকটকে প্রতিনিয়ত আরও সমৃদ্ধ হচ্ছে। গত তিন বছরে বিশ্বব্যাপী স্টেম সম্পর্কিত প্রায় ১৫ মিলিয়ন ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে এবং প্রতি সপ্তাহে ২৫% এরও বেশি কিশোর-কিশোরী স্টেম ফিডে সম্পৃক্ত হচ্ছে।
স্টেমের বিষয়গুলো নিয়ে উৎসাহিত করার জন্য, ১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য স্টেম ফিড ডিফল্টরূপে চালু থাকবে। তবে তারা চাইলে অ্যাপের মধ্যে তাদের কনটেন্ট সেটিংস পরিবর্তন করতে পারবে। ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী যারা আরও ভালো কনটেন্ট খুঁজছেন তারা অ্যাপের মধ্যে তাদের কনটেন্ট সেটিংসে গিয়ে স্টেম ফিডে যেতে পারবে।
টিকটকের লক্ষ্য
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “বাংলাদেশের তরুণরা কৌতূহলী এবং সৃজনশীল। যদি এই সৃজনশীলতাকে আমরা কোনো নিরাপদ আর নির্ভরযোগ্য মাধ্যমের সাথে যুক্ত করতে পারি, তখন সমস্যার সমাধান এবং উদ্ভাবনের চর্চা করা সম্ভব হয়। টিকটকের স্টেম ফিডের মতো টুলস শিক্ষা গ্রহণকে আকর্ষণীয় করে তুলে এবং স্থানীয় ভাষায় মানসম্পন্ন শিক্ষা সহজেই পৌঁছে দিতে পারে।”
টিকটকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের হেড অফ পাবলিক পলিসি ও গভর্নমেন্ট রিলেশনস, ফেরদৌস মোত্তাকিন বলেন, “স্টেম ফিড এই উদ্যোগটি বাংলাদেশে কমিউনিটির জন্য শিক্ষাকে আরও সহজ, আকর্ষণীয় এবং নিরাপদ করবে বলে আমি মনে করি। অভিভাবক, শিক্ষক এবং নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে একসাথে কাজ করে আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে এই প্ল্যাটফর্মটি ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি ও তরুণদের ক্ষমতায়নে দেশের লক্ষ্যকে সহায়তা করবে।”
ইভেন্ট হাইলাইটস
বাংলাদেশে আমাদের স্টেম ফিড লঞ্চিং ইভেন্টের কিছু মুহূর্ত এখানে তুলে ধরা হলো। এই আয়োজনে বাংলাদেশের শীর্ষ শিক্ষাবিদ, কনটেন্ট ক্রিয়েটর, সরকারি কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যমের সদস্যরা একত্রিত হয়েছিলেন।